
বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম আধুনিক যুগের অন্যতম সেরা সাদা বলের ক্রিকেটার। ইনি ক্রিজে থাকার সময় বিরোধী দলের কাছ থেকে খেলা কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে গর্ব করে থাকেন। যাইহোক, কোন কারণে, আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বাংলাদেশের এই খেলায়াড়কে নিলামে কিনতে আগ্রহ দেখায়নি। দু চার বছর নয় দীর্ঘ ১৪ বছর আইপিএলের কোন ফ্রাঞ্চাইজি তাঁকে দলে রাখার জন্য বিনিয়োগ করেনি।
আইপিএল ২০২১ নিলামে ১০৯৭ জন খেলোয়াড় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছিলেন যার মধ্যে ২৮৩ জন বিদেশ থেকে এসেছেন। নিলামে নিবন্ধিত ২৮৩ জন বিদেশী ক্রিকেটারের মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশের। এই তালিকায় রয়েছেন সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, সৌম্য সরকার, লিটন দাস এবং মাহমুদউল্লাহ। মুশফিকুর রহিম ২০০৮ সালে এই টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার পর থেকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের চুক্তির জন্য নাম নথিভুক্ত করা শুরু করেছিলেন, কিন্তু তিনি এখনো কোন গ্রহণকারী খুঁজে পাননি। যাইহোক, বিগত বছরগুলোতে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের আগ্রহের অভাবে হতাশ হয়ে মুশফিকুর রহিম ১৪ বছরে প্রথমবারের মতো নিলামে নাম নথিভুক্ত করেননি।
শনিবার নিউ এজের সাথে কথা বলতে গিয়ে মুশফিকুর রহিমের একাউন্ট পরিচালনাকারী কোম্পানি নিবকো (NIBKO) নিশ্চিত করেছে যে বাংলাদেশের এই খেলোয়াড় ২০২১ সালের আইপিএল নিলামে অংশ নেবে না। বাংলাদেশের অপর দুই তারকা মুস্তাফিজুর রহমান ও শাকিব আল হাসান দল পান নিলামে। মুস্তাফিজুর ১ কোটি টাকার চুক্তিতে যান রাজস্থান রয়্যালসে। অন্যদিকে শাকিবের উপর ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএলে নাম নথিভুক্ত করা বাংলাদেশের মোট ৬ জন ক্রিকেটারের মধ্যে টিম পান এই দুজনই।
২০২টি মোট টি-২০ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে মুশফিকুর রহিমের। যেখানে তিনি ২৫ টি হাফ সেঞ্চুরি করেন এবং মোট ৪২৮৮ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে ৮৬টি আন্তর্জাতিক টি-২০, ৭১টি টেস্ট, ২২১টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছেন। রহিম ৮৬ টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে ১২০.০৩ স্ট্রাইক রেটে ১২৮২ রান করেছেন। এছাড়া উইকেটরক্ষক হিসেবেও তিনি বেশ সফল। টি-২০ ক্রিকেটে উইকেটকিপার হিসেবে ১০৬টি ক্যাচ নিয়েছেন তিনি এবং স্টাম্প আউট করেছেন ৪৭টি।
