
আইপিএলের ইতিহাসে এখনো পর্যন্ত চেন্নাই সুপার কিংস একমাত্র দল যারা গ্রুপ পর্যায়ে পরপর চারটি ম্যাচে পরাজিত হয়েও শিরোপা জিতেছেন। ঘটনাটি ২০১০ সালের। পরপর চারটি ম্যাচে হেরেছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে চেন্নাই সুপার কিংস। কিন্তু সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রথম বারের মত শিরোপা অর্জন করেছিল চেন্নাই। তার ১২ বছর বাদে ফের ঘটল এক ঘটনা। ২০১০ সালে ২১ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সময়কালে পরপর চার ম্যাচে হেরেছিল ধোনি বাহিনী। সেবার প্রথম ম্যাচে সুপার ওভারে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব, দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৬ রানে আরসিবি, তৃতীয় ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের কাছে ৫ উইকেটে এবং চতুর্থ ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালস দলের কাছে ১৭ রানে হার মেনেছিল তারা। ২০২২ সালেও পরপর চার ম্যাচ হেরে সেই লজ্জার নজিরকেই স্পর্শ করল তারা।
এখন পর্যন্ত চেন্নাই সুপার কিংস রবীন্দ্র জাদেজার নেতৃত্বে চারটি ম্যাচে পরাজিত হয়েছে। আইপিএলের পঞ্চদশ আসর শুরু হওয়ার দু’দিন পূর্বে চেন্নাই সুপার কিংসের নেতৃত্ব ছাড়েন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তার স্থানে নতুনভাবে দলের নেতা হন বর্তমান সময়ে পৃথিবীর অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা। যদিও অধিনায়ক হিসেবে তার আইপিএল যাত্রার শুরুটা একদম মনপুতঃ হয়নি। গতবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস বর্তমানে চারটি ম্যাচে হেরে পয়েন্ট টেবিলের দশম স্থানে অবস্থান করছে। বর্তমান অবস্থা থেকে কি এবার ঘুরে দাঁড়াবে চেন্নাই সুপার কিংস? আবারো কি আইপিএল শিরোপা ঘরে তুলবেন মহেন্দ্র সিং ধোনি?
আইপিএলের শুরুতে শক্তিশালী পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৫৪ রানের বিশাল পরাজয় চেন্নাইকে ঠেলে দিয়েছে ব্যাকফুটে। এদিন পাঞ্জাব কিংস প্রথমে ব্যাটিং করে ১৮০ রান করে। ১৮১ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৮ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে চেন্নাই সুপার কিংস ১২৬ রান সংগ্রহ করে। দলের হয়ে সর্বাধিক ৫৭ রানের ইনিংসটি খেলেন শিভাম দুবে। এছাড়া মহেন্দ্র সিং ধোনি দলের খাতায় যুক্ত করেন ২৩টি রান। এর আগে দুটি ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং লখনউ-এর বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে পরাজিত হয় চেন্নাই সুপার কিংস। তাছাড়া শেষ ম্যাচে সানরাইজ হায়দ্রাবাদের কাছে ৮ উইকেটে পরাজিত হয়ে এই লজ্জার রেকর্ড গড়েছে চেন্নাই সুপার কিংস।
