
আইপিএলের মেগা নিলামে সাকিব-আল-হাসান অবিক্রিত। বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তার সমর্থকরা। আইপিএলের মেগা নিলামে ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে ২০৪ জন ক্রিকেটারের। যেখানে মেগা নিলামে নাম উঠেছিল মোট ৫৯০ জন ক্রিকেটারের। তাই স্বাভাবিক ভাবেই বেশিরভাগ ক্রিকেটার অবিক্রিত থাকবেন সেটি আগে থেকেই স্থির ছিল। তবে মেগা নিলামে একাধিক তরুণ ক্রিকেটাররা দল পেলেও বিশ্ব বিখ্যাত ক্রিকেটাররা দল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সেই তালিকাটি একেবারে নাতিদীর্ঘ নয়। তালিকায় বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইয়ন মরগান থেকে শুরু করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের নামও লেখা হয়েছে। বিগত প্রায় এক দশক ধরে আইপিএলে সুযোগ পাওয়া বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও থেকে গেছেন অবিক্রিত।
মেগা নিলামে সাকিব আল হাসানের অবিক্রিত থাকার ঘটনাকে রীতিমতো হাসির খোরাক বানিয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। অবশ্য এই অসময়ে সাকিব আল হাসানের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে তার স্ত্রী শিশির তাকে আরো হাসির পাত্র হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তিনি ক্রিকেটপ্রেমীদের কটাক্ষের যোগ্য জবাব দিতে গিয়ে বলেন, “সাকিব আইপিএলের মেগা আসলে ইচ্ছা করেই অবিক্রিত থেকেছেন। কারণ তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে প্রাধান্য দিয়েছেন। আইপিএলের মাঝপথে তাকে শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য উড়ে যেতে হতো। সেই জন্য মেগা নিলামে অবিক্রিত থেকেছেন তিনি।”যদিও ইতিপূর্বে একাধিকবার সাকিব-আল-হাসান আইপিএল খেলার জন্য আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন।
ফেসবুকে শিশির লিখেছেন, “বেশি উত্তেজিত হওয়ার আগেই জানিয়ে রাখি, গোটা টুর্নামেন্ট খেলতে পারবে কিনা জিজ্ঞেস করে ওকে সরাসরি দুই দল যোগ করেছিল। তবে দুর্ভাগ্যবশত শ্রীলঙ্কা সিরিজ থাকার জন্য ওর পক্ষে আইপিএল খেলা সম্ভব নয়। এই কারণেই ও অবিক্রিত থেকে যায়। এটা খুব একটা বড় সমস্যা নয়। পরের বছর আবার সুযোগ আসবে। আইপিএল খেলতে গেলে ওকে শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে সরে দাঁড়াতে হত, সেটা কি খুব ভাল হত? তখন তো ওকে বিশ্বাসঘাতক বানিয়ে দেওয়া! তাই না? উত্তেজনায় জল ঢেলে দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।” সাকিব পত্নীর এমন বক্তব্য ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য হাসির খোরাক হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।
