
আইপিএলে নিজের অভিষেক ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ঠিক এমনটাই করলেন আয়ুষ বাদোনি। ছয় নম্বরে লখনউ সুপার জায়েন্টসের হয়ে ব্যাট করতে নেমে এক অসাধারণ ৪১ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন বাদোনি। তাঁর ইনিংসে ছিল চারটি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা। এরপর নিজের মনের ভাব ব্যক্ত করেছেন লখনউ-এর তরুণ ক্রিকেটার। তিনি যখন ব্যাট করতে নামেন, তখন পাঁচ ওভারও হয়নি। দল মাত্র ২৯ রানে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল। সেই প্রবল চাপ থেকে টেনে তুলে দলকে ১৫৮ রানের লড়াকু রানে পৌঁছে দেন বাদোনি। এজন্য তার ইনিংসটিকে পুরো ম্যাচের সেরা ইনিংস বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও।
গতকাল আইপিএলের চতুর্থ ম্যাচে টসে জিতে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন গুজরাট টাইটানসের হার্দিক পাণ্ডিয়া। শুরুতেই ব্যাট করতে নেমে বড় ধাক্কা খান লখনউ অধিনায়ক। প্রথম বলেই শূন্য করে আউট হন কেএল রাহুল। তাঁকে ফেরান তাঁরই জাতীয় দলের সতীর্থ মহম্মদ সামি। এরফলে গুজরাটের কোন দলের বিপক্ষে আরো একবার ‘গোল্ডেন ডাক’ পাওয়ার রেকর্ড গড়লেন কে এল রাহুল। দলের কঠিন পরিস্থিতির সময় দুর্দান্ত ইনিংস খেলে রাতারাতি ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে নায়ক হয়ে উঠেছেন তরুণ এই ক্রিকেটার।
২২ বছরের আয়ুষ অনূর্ধ্ব-১৯ স্তরে দুর্দান্ত সাফল্য পান। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে যুব টেস্ট ম্যাচে ১৮৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ফাইনালে ২৮ বলে ৫২ রান করেন তিনি। এই ম্যাচে এক ওভারে চারটি ছক্কা মারেন তিনি। ২০২১-এর ১১ জানুয়ারি দিল্লির হয়ে প্রথমবার সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ পান এই তরুণ ব্যাটসম্যান। এবার আইপিএলে সুযোগ পেলেন তিনি। অভিষেক ম্যাচে বিধ্বংসী ইনিংস এবং মাঠের সর্বদিকে খেলার কৌশল কিছুটা এবি ডি ভিলিয়ার্সের সাথে মিল থাকায় ক্রিকেটপ্রেমীরা তাকে ভারতের ডিভিলিয়ার্স বলে আখ্যায়িত করছেন।
