
আইপিএলে নিজের অভিষেক ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে অর্ধশত রানের ইনিংস খেলে নিজের অস্তিত্বের জানান দিয়েছেন তরুণ ক্রিকেটার আয়ুষ বাদোনি। ইতিপূর্বে ছয় নম্বরে লখনউ সুপার জায়েন্টসের হয়ে ব্যাট করতে নেমে ৪১ বলে ৫৪ রানের এক অসাধারণ ইনিংস খেলেন বাদোনি। তাঁর সেই ইনিংসে ছিল চারটি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা। সেই ইনিংসে তিনি যখন ব্যাট করতে নামেন, তখন পাঁচ ওভারও হয়নি। দল মাত্র ২৯ রানে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল। সেই প্রবল চাপ থেকে টেনে তুলে দলকে ১৫৮ রানের লড়াকু রানে পৌঁছে দেন বাদোনি। এজন্য তার ইনিংসটিকে পুরো ম্যাচের সেরা ইনিংস বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও।
চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন চেন্নাইয়ের অধিনায়ক রবীন্দ্র জাদেজা। প্রথমে ব্যাটিং করে আইপিএলের অন্যতম সফল দল চেন্নাই সুপার কিংস ২১১ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা ছুঁড়ে দেয় লখনউ সুপার জায়েন্টসের সামনে। চেন্নাইয়ের দেওয়া ২১১ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে কে এল রাহুল এবং কুইন্টন ডি কক বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাটিং করেন। কে এল রাহুল ব্যক্তিগত ৪০ এবং কুইন্টন ডি কক ব্যক্তিগত ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। দলের হয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার ইভেন লুইস। মাত্র ২৩ বলে ৫৫ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলেন তিনি। ছয়ে খেলতে নেমে ৯ বলে অপরাজিত ১৯ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন আয়ুশ বাদোনি।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, ২২ বছরের আয়ুষ অনূর্ধ্ব-১৯ স্তরে দুর্দান্ত সাফল্য পান। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে যুব টেস্ট ম্যাচে ১৮৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ফাইনালে ২৮ বলে ৫২ রান করেন তিনি। এই ম্যাচে এক ওভারে চারটি ছক্কা মারেন তিনি। ২০২১-এর ১১ জানুয়ারি দিল্লির হয়ে প্রথমবার সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ পান এই তরুণ ব্যাটসম্যান। এবার আইপিএলে সুযোগ পেলেন তিনি। অভিষেক ম্যাচে বিধ্বংসী ইনিংস এবং মাঠের সর্বদিকে খেলার কৌশল কিছুটা এবি ডি ভিলিয়ার্সের সাথে মিল থাকায় লখনউ সুপার জায়েন্টসের অধিনায়ক কে এল রাহুল তাকে ভারতের ডিভিলিয়ার্স বলে আখ্যায়িত করছেন। আর এবারের আইপিএলে আয়ুশ বাদোনি ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার বলে মনে করছেন রাহুল।
