
২০২২ সালে আয়োজিত হতে যাচ্ছে মেঘা আইপিএলের আসর। ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগে যুক্ত হতে চলেছে আরও দুটি নতুন দল। ইতিমধ্যে সেই তালিকায় নিজেদের নাম লিখিয়েছে আমেদাবাদ এবং লখনউ। তাই পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে নব রূপে সাজিয়ে নতুনভাবে আইপিএলের আসর পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আর সেই জন্য পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে চাইলে সর্বোচ্চ চারজন ক্রিকেটারকে রিটেন করার সুযোগ দিয়েছে বিসিসিআই। বাকি সমস্ত ক্রিকেটার উঠবেন ২০২২ মেগা নিলামে। যদিও মেগা নিলামের পূর্বে দু’টি নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি চাইলে সর্বোচ্চ তিন জন করে ক্রিকেট দলে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।
গত মাসের ৩০ তারিখ অব্দি রিটেনশন ক্রিকেটারের তালিকা জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নির্দেশ অনুযায়ী ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো তাদের পছন্দ অনুযায়ী ক্রিকেটারদের তালিকা জমা দিয়েছে বিসিসিআইয়ের সদরদপ্তরে। সেই নিয়ম মেনে আইপিএল-এর অন্যতম সফল দল কলকাতা নাইট রাইডার্স চারজন ক্রিকেটারকে রিটেন করেছে। কিন্তু সেখানেই মহা ভুল হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের এমনটাই সূত্রের খবর। রিটেনশন ক্রিকেটারের তালিকায় রয়েছেন আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইন, ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং বরণ চক্রবর্তী।
কিন্তু ইতিমধ্যে শুভমান গিলকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে। ধারাবাহিক ফর্মে না থাকার জন্য অধিনায়ক ইয়ন মরগান এবং দীনেশ কার্তিককে ছেঁটে ফেলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ধরে রাখেনি প্যাট কামিন্সকেও। তারপরে আবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটিং স্তম্ভ শুভমান গিলকে করেনি রিটেন। জানিয়ে ইতিমধ্যে ক্রিকেট মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তরুণ এই ক্রিকেটার বিগত কয়েক মরশুম ধরে কলকাতার জন্য ধারাবাহিকভাবে রান করে আসছেন। অথচ তাকে বাদ দিয়ে রিটেনশন ক্রিকেটারের তালিকা প্রকাশ করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
আর শুভমান গিলকে রিটেন না করে বিশাল ভুল করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স, এমনটাই মনে করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। মনে করা হচ্ছে, অতীতের সূর্য কুমার যাদবকে ছেড়ে দিয়ে যে ভুল করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স সেই একই ভুল আবারো করেছে তারা। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শুভমান গিল যেকোন দলের জন্য আশীর্বাদ হয়ে ফিরে আসতে পারেন বলে ধারণা ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের।
