
আসন্ন ২০২২ আইপিএলকে লক্ষ্য রেখে ইতিমধ্যে দল সাজানো শুরু করেছে নতুন-পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। ইতিমধ্যে প্লেয়ার রিটেন করার মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়েছে পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো জন্য। তাছাড়া নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সর্বোচ্চ তিন জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখার জন্য বরাদ্দকৃত সময়সীমা ইতিমধ্যে পার হয়েছে। আইপিএলের মঞ্চে অন্যতম সফল দল কলকাতা নাইট রাইডার্স ইতিমধ্যে চারজন ক্রিকেটারকে রিটেন করেছে। সেই তালিকায় রয়েছেন- সুনীল নারাইন, আন্দ্রে রাসেল, ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং বরুণ চক্রবর্তীকে। তবে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কলকাতা নাইট রাইডার্স প্লেয়ার রিটেনশনে একাধিক ভুল করেছে।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, কলকাতা নাইট রাইডার্স তাদের দলের অধিনায়ক করার জন্য যোগ্য কাউকে ধরে রাখেনি। তাছাড়া দুই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার সুনীল নারাইন এবং আন্দ্রে রাসেল বর্তমানে আর ফর্মে নেই। তাদের ফর্মের চূড়ান্ত সীমা ইতিমধ্যেই উত্তীর্ণ হয়েছে। তাছাড়া অধিনায়কত্ব করার মত যোগ্যতা রিটেনশন করা চার ক্রিকেটারের মধ্যে কারোর নেই। সে ক্ষেত্রে মেগা অকশনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের পূর্বে অধিনায়ক কিনতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কলকাতা নাইট রাইডার্স চাইলে এই ৩ ক্রিকেটারকে রিটেন করতে পারত-
১. শুভমান গিল: দীর্ঘদিন ধরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন শুভমান গিল। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন তিনি। ভবিষ্যতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জন্য উপযুক্ত অধিনায়ক হতে পারতেন গিল। দীর্ঘদিনের জন্য শুভমান গিলের সাথে বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে পারতো কলকাতা নাইট রাইডার্স। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, অতীতে যেমন কলকাতা নাইট রাইডার্স সূর্য কুমার যাদবকে রিলিজ করে ভুল করেছিল ঠিক তেমনই শুভমান গিলকে ছেড়ে ভুল কাজ করেছে।
২. শিভম মাভি: ২০১৮ সালের যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলে শুভমান গিলের সঙ্গেই ছিলেন শিভম মাভি। মাভির সঙ্গে কমলেশ নাগারকোটিও আলোচনায় উঠে এসেছিলেন। তবে শিভম মাভির বল ব্যাটসম্যানদের অস্বস্তিতে ফেলার জন্য যথেষ্ট। ২৩ বছরের এই তরুণ ক্রিকেটার বিজয় হাজারে ট্রফিতে ৭ ম্যাচে ১৫ উইকেট তুলে নিয়ে নজর কেড়েছেন। তবে শিভম মাভি চোট প্রবণ হওয়ায় হয় তো বা কলকাতা নাইট রাইডার্স তাকে রিলিজ করেছে। তবে তার দিকে চোখ রয়েছে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজির।
৩. লকি ফার্গুসন: নিউজিল্যান্ডের এই পেসারকে আসন্ন ২০২২ আইপিএলের জন্য রিলিজ করে দিয়েছে। তবে তাকে রিলিজ করে কলকাতা নাইট রাইডার্স মহা ভুল করেছে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। বলের সাথে সাথে ব্যাট হাতে যে কোন সময় বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারেন লকি ফার্গুসন। ইতিপূর্বে আইপিএলে ২২ ম্যাচে ২৪ উইকেট দখল করেছেন লকি ফার্গুসন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫টি ম্যাচে ১৫.৪০ গড়ে তিনি ২৫ উইকেট শিকার করেছেন। তাকে রিলিজ করে কলকাতা নাইট রাইডার্স কত বড় ভুল করেছে সেটা সময় বলে দেবে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
