
রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতেও প্লে-অফে পৌঁছে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু কে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথম দল হিসাবে এবারের আইপিএলের প্লে-অফে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে কায়রন পোলার্ডের নেতৃত্বে শেষ ৩ ম্যাচের মধ্যে মুম্বই জয় পেল ২টি তে।
টসে জিতে এ দিন প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক কায়রন পোলার্ড। আরসিবির হয়ে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন তরুণ দেবদত্ত পাড়িক্কল এবং জশ ফিলিপ। প্রথম উইকেটে ৭১ তুলে ফেলেন তাঁরা। কিন্তু ফিলিপ আউট হতেই পর পর উইকেট হারাতে থাকে আরসিবি। যদিও অন্যদিকে অসাধরণ ছন্দে ব্যাট করতে থাকেন পাড়িক্কল। একে একে অধিনায়ক বিরাট কোহলি, এ বি ডেভিলিয়ার্সরা ফিরে গেলেও পাড়িক্কল মরিয়া চেষ্টা করেন। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৪৫ বলে ৭৪ রানের লড়াকু ইনিংস। শেষদিকে গুরখিরাত সিং-এর অপরাজিত অপরাজিত ১৪ এবং ওয়াশিংটন সুন্দরের অপরাজিত ১০ রানের সুবাদে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান করে বেঙ্গালুরু।
মুম্বইয়ের হয়ে এ দিনও অসাধারণ বোলিং করেন যশপ্রীত বুমরা। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। তার মধ্যে রয়েছে একটি মেডেন ওভার। পাড়িক্কল, কোহলিকেও ফেরান বুমরাই। একই সঙ্গে এ দিন আইপিএল-এ ১০০ উইকেট নেওয়ার নজিরও গড়লেন বুমরা। পোলার্ড ১ ওভারে মাত্র ৫ রান দিলেও এবি ডিভিলিয়ার্সের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করেছিলেন মুম্বইয়ের দুই ওপেনার ঈষাণ কিষান এবং কুইন্টন ডি কক। প্রথম উইকেটে ৩৭ উঠলেও ইনিংসকে টানতে পারেননি দু’ জনের কেউই। তবে যথারীতি এ দিনও তিন নম্বরে নেমে মুম্বই ইনিংসের হাল ধরেন সূর্যকুমার যাদব। মাত্র ২৯ বলে অর্ধশতরান করেন তিনি। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়বেন, তা যেন ঠিক করে নিয়েছিলেন এই মুম্বইকর। তাই মাঝে পর পর কয়েকটি উইকেট হারালেও মুম্বই ইনিংসকে চাপে ফেলতে দেননি সূর্য। শেষ দিকে তাঁর সঙ্গে হার্দিক পান্ডিয়ার পার্টনারশিপই মুম্বইকে জয়ের কাছে নিয়ে যায়। এরপর পোলার্ড ও সূর্য দলকে জেতানোর পাশাপাশি প্লে-অফেও তুলল।
এই ম্যাচে জয়ের ফলে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম দল হিসাবের প্লে-অফে চলে গেল। অন্যদিকে বেঙ্গালুরু ১৪ পয়েন্টেই আটকে থাকল। ফলে পঞ্জাব, কলকাতা, রাজস্থান, দিল্লি, হায়দরাবাদের মতোই বিরাট কোহলির দলের কাছেও এখনও প্লে অফের টিকিট অনিশ্চিত হয়েই থাকল।
