
চলতি আইপিএলের শুরুটা যেমন হয়েছিল শেষটা যেন ঠিক তার বিপরীত। প্লে-অফে একটি স্থানের জন্য নিজের জায়গা নিশ্চিত করতে পরস্পর চারটি দল বিরোধিতা করেছিল। ইতিপূর্বে প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত করেছে দিল্লি ক্যাপিটালস, চেন্নাই সুপার কিংস এবং রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোর। ইতিমধ্যে রাজস্থান রয়েলস এবং পাঞ্জাব কিংস প্লে অফের দৌড় থেকে বেরিয়ে গেছে। এখন এই লড়াইতে টিকে রয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স। গতকাল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স রাজস্থান রয়েলসকে ছেলেখেলা করে পরাজিত করেছে। যার ফলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের রানরেটে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। অন্যদিকে কলকাতা নাইট রাইডার্স প্রথম খেলাগুলোতে অনেক মার্জিনে জয়লাভের পর রানরেটে অনেকটাই এগিয়ে ছিল। তাই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স তাদের পরবর্তী একটি খেলায় এই দুই দল জয়লাভ করলে রানরেটের ভিত্তিতে এগিয়ে থাকবে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
কিন্তু যে কোনো মুহূর্তে এই সমীকরণ পাল্টানো অসম্ভব নয়। গতকাল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স যেমন সমীকরণে রাজস্থান রয়েলসকে পরাজিত করেছে ঠিক তেমন মার্জিনে যদি সানরাইজ হায়দ্রাবাদ কে পরাজিত করতে পারে তাহলে রানরেটে অনেকটা উন্নতি হবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। বর্তমানে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ১২ পয়েন্ট এবং -০.০৪৮ রানরেটে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে। অন্যদিকে কলকাতা নাইট রাইডার্স ১২ পয়েন্ট এবং +০.২৯৪ রানরেটে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে রয়েছে। এছাড়া কলকাতা নাইট রাইডার্স নিজেদের শেষ খেলাটি রাজস্থান রয়েলসের সামনে খেলতে নামবে। সে ক্ষেত্রে রাজস্থান রয়েলস এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের মধ্যে যথেষ্ট লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতা নাইট রাইডার্স যদি সামান্য ব্যবধানে রাজস্থান রয়েলসকে পরাজিত করতে পারে তাহলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স যত বড় মার্জিনে জয়লাভ করুক না কেন প্লে-অফে পৌঁছাতে পারবে না। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্লে অফে পৌঁছানো নির্ভর করছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের পারফরমেন্সের উপর। অন্যদিকে যদি এই দুটি দল তাদের আসন্ন শেষ খেলায় পরাজিত হয় সে ক্ষেত্রে রান রেটের জন্য কলকাতা নাইট রাইডার্স ১২ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফে প্রবেশ করবে। অর্থাৎ শেষ কথা হল, কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে যে টিম শেষ খেলাতে পরাজিত হবে সেই দলের এবারের আইপিএল যাত্রা শেষ হবে। তাই প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে সামনের ম্যাচে জয় আবশ্যক।
