
গত দেড় বছর জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়ের মধ্যদিয়েগিয়েছেন তিনি। প্রথমে হারিয়েছেন বাবাকে। তার কয়েক মাস পর হারাতে হয় মা কেউ। মাত্র ২২ বছর বয়সেই পেয়েছেন দুটি বড় ধাক্কা।আর তারপর শুরু হয় লকডাউন, যার জেরে দীর্ঘদিন ক্রিকেট মাঠ থেকে দূরে থাকতে হয়েছে তাকে। তবে এইসব কোন কিছুই যে তার বোলিং-শিল্পে কোনোরকম প্রভাব ফেলতে পারেনি সেটাই তিনি প্রমাণ করে দিলেন গতকাল। তাঁর ঘূর্ণির ছোবল কিভাবে ব্যাটসম্যানদের জীবন ওষ্ঠাগত করে তুলতে পারে আবারও তা দেখিয়ে দিলেন রশিদ খান।গতকাল আইপিএল এর একাদশ তম ম্যাচে আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস এবং সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।
এবার আইপিএলে প্রথম জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে ঝাঁপিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। অপরদিকে জয়ের হ্যাটট্রিক করার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। কিন্তু দিল্লীর আর তাদের জয়ের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ালো রাশিদের বিষাক্ত ঘূর্ণি।গতকাল ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন এই আফগান লেগস্পিনার। তাঁর শিকারের ঝুলিতে জমা পড়ে শিখর ধাওয়ান, শ্রেয়স আইয়ার এবং ঋষভ পন্থের উইকেট। দিল্লির ব্যাটিংয়ের মেরুদন্ড তিনি একাই ভেঙে দেন। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দিল্লিকে ১৫ রানে হারিয়ে এই আইপিএলে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল হায়দ্রাবাদ। আর এই দুর্ধর্ষ বোলিংয়ের জন্য ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন রশিদ। ম্যাচের সেরা হওয়ার পর তিনি বলেন “গত দেড় বছর আমার খুব কঠিন সময় যাচ্ছে। প্রথমে বাবাকে হারালাম।
তারপর ৩-৪ মাস আগে মা মারা গেলেন। এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে আমার সময় লেগেছে।’’রশিদ আরও যোগ করেন ‘‘মা আমার সবচেয়ে বড় সমর্থক ছিলেন। বিশেষ করে আইপিএলে আমার খেলা মন দিয়ে দেখতেন তিনি। আমি ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হলে মা সারারাত আমার সঙ্গে গল্প করে কাটাতেন।” এইদিন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের প্রশংসাও করেন তিনি। বলেন “ওয়ার্নার সব সময় আমার দক্ষতায় আস্থা রাখে আর বলে, তুমি জানো দলের জন্য সবচেয়ে ভাল কী করতে পারো। একমাত্র আমি কিছু করতে না পারলে তখনই ক্যাপ্টেনকে গিয়ে জিজ্ঞেস করি কী করা যেতে পারে।”
