
১২ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আজ মরণ-বাঁচনের লড়াইয়ে শক্তিশালী লখনউ সুপার জায়েন্টসের বিপক্ষে ২২ গজের মহারণে মুখোমুখি হতে চলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আপাত চোখে কলকাতার প্লে-অফে পৌঁছানোর রাস্তা বন্ধ হলেও কঠিন সমীকরণ মেলাতে পারলেই চলতি আইপিএলের প্লে অফের যোগ্যতা অর্জন করবে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে পেলে হবে পৌঁছানোর রাস্তা অত্যন্ত সংকীর্ণ। কঠিন চ্যালেঞ্জ পার করেই চূড়ান্ত সাফল্য অর্জন করতে পারবে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আজকের ম্যাচে জয় নিশ্চিত করলেই প্লে-অফে পৌছাবেনা কলকাতা। সঙ্গে পূরণ করতে হবে আরও একাধিক চ্যালেঞ্জ-
১. লখনউ সুপার জায়েন্টসের বিরুদ্ধে জয়: আজকের ম্যাচে লখনউ সুপার জায়েন্টসের বিপক্ষে যতটা সম্ভব ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করতে হবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের। তবে গ্রুপ পর্যায়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালস এবং রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোরের সাথে একই সারিতে অবস্থান করবে কলকাতা। এমনকি নেট রান রেট ভালো থাকায় ব্যাঙ্গালোরকে টপকে যাবে নাইট শিবির। তবে বিকল্পগুলি তখনই গণ্য হবে যখন কলকাতা নাইট রাইডার্স আজকের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বিশাল ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
২. ব্যাঙ্গালোরের পরাজয়: আগামীকাল কোনক্রমে গুজরাটের বিরুদ্ধে রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোর পরাজিত হলেই প্লে-অফে পৌঁছানোর দরজা খুলবে নাইট রাইডার্সের। কারণ, ১৪ পয়েন্টসহ -০.-৩২৩ রান রেট নিয়ে বেকায়দা জনক অবস্থায় রয়েছে রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোর। শেষ ম্যাচে পরাস্ত হলে বাড়ি ফেরার টিকিট কনফার্ম বিরাট কোহলিদের।
৩. দিল্লির পরাজয়: প্লে অফের দৌড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে দিল্লি। তবে রাস্তা এখনও পরিষ্কার নয়। আগামী ২১ তারিখ পয়েন্ট টেবিলের নিচে থাকা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে দিল্লি ক্যাপিটালস। বর্তমানে ১৪ পয়েন্ট এবং +০.২৫৫ রান রেট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে দিল্লি। মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হলেই নেট রান রেটে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যাবে দিল্লি। সে ক্ষেত্রে রানরেটের ভিত্তিতে প্লে-অফ খেলার সুযোগ পাবে কলকাতা।
এদিকে, শেষ ম্যাচে পঞ্জাব কিংস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ মুখোমুখি হবে। যে দল জিতবে, তাদের ১৪ পয়েন্ট হবে। তবে দু’দলেরই নেট রানরেট অনেকটা কম। পঞ্জাবের -০.০৪৩ এবং হায়দরাবাদের -০.২৩০। তাই অভাবনীয় কোনও ঘটনা না ঘটলে চিন্তার কোন কারন নেই কলকাতার।
