
আসন্ন আইপিএলের ১৫ তম সংস্করণে একাধিক পরিবর্তন আনতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আট দলের স্থানে যুক্ত হয়েছে আরও দুটি নতুন দল। অনুষ্ঠিত হবে মেগা নিলাম। প্রত্যেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে সুযোগ রয়েছে পুরনো ক্রিকেটার ছেড়ে নতুনভাবে দলকে সাজানোর। ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল ক্রিকেটার বিরাট কোহলি চলতি বছর ১৬ই সেপ্টেম্বর জানান যে, টি-২০ বিশ্বকাপই কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে তাঁর শেষ অভিযান। তাঁর ঠিক তিন দিন পরেই কোহলি কোহলি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোরেরও ক্যাপ্টেনসি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোর ইতিমধ্যে রিটেনশন প্লেয়ারের লিস্ট জমা দিয়েছে বিসিসিআই-এর কাছে। বিরাট কোহলি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং মোহাম্মদ সিরাজকে রিটেন করেছে রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোর। ২০১১ সাল থেকে রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোর এর জন্য অধিনায়কত্ব করে আসছেন বিরাট কোহলি। দীর্ঘ ১০ মরশুম ধরে অধিনায়কত্ব করলেও কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেননি তিনি। ২০১৬ সালে রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোর ফাইনাল ম্যাচ সানরাইজ হায়দ্রাবাদের কাছে পরাজিত হয়। আসন্ন ২০২২ মেগা অকশনে রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোরের প্রথম লক্ষ্য একজন অধিনায়ক খোঁজ করা।
সূত্রের খবর, ২০২২ সালে রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক হিসেবে নাকি মনিশ পান্ডেকে বেছে নিয়েছে। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে মনিশ পান্ডে সানরাইজ হায়দ্রাবাদের জন্য মাঠে নামতেন। মিডল অর্ডারে দলের জন্য রান সংগ্রহ করার ক্ষমতা রয়েছে এই ব্যাটসম্যানের। আইপিএলের প্রথম সেঞ্চুরিকারী ভারতীয় ক্রিকেটার হিসাবে নিজের নাম ইতিহাসে লিখিয়েছেন মণীশ। ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি কর্ণাটকের হয়ে অধিনায়কত্ব করেছেন রঞ্জি ট্রফি ও সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে। বছর বত্রিশের মিডল অর্ডার ব্যাটার মনিশ পান্ডে এখনও পর্যন্ত ১৫৪টি আইপিএল ম্যাচে ৩৫৬০ রান করেছেন। যদিও বিগত বছর তার ব্যাট থেকে খরা গেছে। এখন দেখার বিষয় ব্যাঙ্গালোর শিবিরে যুক্ত হয়ে নিজের পুরনো ফর্মে ফিরতে পারেন কিনা মনিশ পান্ডে।
