
আজ আইপিএলের ষষ্ঠ খেলায় রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোরের মুখোমুখি হবে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ইতিপূর্বে কলকাতা নিজেদের প্রথম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসকে পরাস্ত করে পয়েন্ট টেবিলের নিজেদের খাতা খুলেছে। যদিও শক্তিশালী রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে কলকাতার লড়াইটা সহজ হবে না বলে ধারণা করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। করোনা পরিস্থিতির কথা ভেবে এবার আইপিএলের খেলা গুলি মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেডিয়ামে আয়োজন করার পরিকল্পনা করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। একাধিক বাধ্যবাধকতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগের পঞ্চদশ তম আসর। এমন পরিস্থিতিতে নিয়মে কিছুটা পরিবর্তন আনতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের বাইরে আইপিএলের কিছু ম্যাচের আয়োজন করার পরিকল্পনা করেছে বিসিসিআই। জানা গেছে, প্লে-অফের একাধিক ম্যাচ আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে ইডেন গার্ডেন্সে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, আইপিএল-এর একটি কোয়ালিফায়ার ও একটি এলিমিনেটর ম্যাচ আয়োজিত হতে পারে ক্রিকেটের নন্দন কাননে। ফাইনাল এবং একটি কোয়ালিফায়ার ম্যাচ গুজরাটের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে আয়োজিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটলে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী এবং সচিব জয় সাহা।
সূত্রের আরো খবর, বিভিন্ন গ্রাউন্ডে খেলার আয়োজন করলে স্টেডিয়ামে দর্শক প্রবেশের অনুমতি পাবে কিনা সে বিষয় রয়েছে একাধিক প্রশ্ন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আয়োজিত হয়েছিল ইডেনে। শেষ ম্যাচে দর্শক প্রবেশের অনুমতিও দেওয়া হয়েছিল। যদিও সেটা সীমিত সংখ্যক। এখন আইপিএল-এর প্লে-অফ ম্যাচ দেখার অনুমতি সাধারণ মানুষ পায় কিনা সেটাই দেখার। বর্তমানে গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচগুলোতে এক-তৃতীয়াংশ দর্শক প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তবে ক্রিকেট গ্রাউন্ড এর পরিসীমা বাড়লে আইপিএলের জৌলুস আরো বাড়বে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। যদি এমনটা হয় তাহলে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর আবার আলোকোজ্জ্বল হবে ক্রিকেটের নন্দনকানন ইডেন গার্ডেন্স।
